আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ অ্যাননটেক্সের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের পাওনা ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ঋণের এই টাকা আদায়ে মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আটকে রয়েছে ব্যাংকের এসব অর্থ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৭৯৪ কোটি টাকা বকেয়া এবং খেলাপি ঋণ আদায় করেছে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সহায়তার মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা পেয়েছে ব্যাংকটি।
খেলাপি ঋণের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। গত জুন পর্যন্ত ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা।
ব্যাংকের বোর্ড সভায় সশরীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করায় বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালকের পদ হারাতে যাচ্ছেন অন্তত ৬০ জন। কারণ, তাঁরা সশরীর সভায় যোগ দিচ্ছেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বেসরকারি ২৮ ব্যাংকের এই পরিচালকেরা আত্মগোপনে বা বিদেশে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঋণখেলাপিদের ধরতে কঠোর হচ্ছেন গভর্নর। এ জন্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্য ধরেই আগানোর চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়ে গেছে একটি বিপত্তি। তা হলো, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআইবিতে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা। সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোড করার সুযোগ থাকায় ব্যাংক কর্তৃ
‘ব্যাংকিং কমিশন’ই হোক আর ‘ব্যাংকিং টাস্কফোর্স’ই হোক—এগুলো কেন? এত কথা বলার দরকার নেই। ব্যাংকিং খাতের সমস্যার মূলে, সব সমস্যার মূলে হচ্ছে ‘খেলাপি ঋণ’ (ক্লাসিফাইড লোন)। খেলাপি ঋণ কী? এখানে ‘খেলাপি’ হচ্ছে শর্ত খেলাপি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে ধ্বংসের পথে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের ৯৭ শতাংশ খেলাপির খাতায়। সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ৩০২ কোটি টাকা আদায়ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কোম্পানির অফিস স্পেস কেনা হলেও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। এ রকম নানান
অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় রীতিমতো খুঁড়িয়ে চলছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৯০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এতে দুর্বল হয়ে পড়েছে আর্থিক ভিত্তি। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এর প্রভাবে গ্রাহকদের আস্থা কমে গেছে। ফলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন আমানতকার
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, পাকিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সিরাজউদ্দৌলার পাঁচ বিলাসবহুল গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ৪৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় তাঁর গাড়িগুলো ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়
দেশের ব্যাংকিং খাত খেলাপি ঋণে বেসামাল হয়ে পড়েছে। এতে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এই খেলাপি ঋণের বিপরীতে গ্রাহকের নিরাপত্তার নির্ধারিত প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে পারছে না কিছু ব্যাংক। তার মধ্যে ৯টি ব্যাংকের সঞ্চিতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। তবে অ
অব্যবস্থাপনা এবং নিয়মবহির্ভূত ঋণের বেড়াজালে লাগামহীন হয়ে উঠেছে খেলাপি ঋণ। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ আদায়ে হযবরল দেখা দিয়েছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। সৃষ্টি হচ্ছে একের পর এক খেলাপির রেকর্ড। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা হুঁশিয়ারির পরেও অতীতের সব ইতিহাস ভেঙে গত জুন পর্যন্ত খেলাপির নতুন রেকর্ড ২ লাখ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আনছারুল আলম চৌধুরীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ গোষ্ঠীকে ঋণ বিতরণে বেশ উদারতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। একক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের সীমা ভেঙে আগ্রাসী অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। বেক্সিমকো, এস আলম, এননটেক্সসহ ২৩টি গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের দেওয়া ঋণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যা
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর কাছে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার তথা ৬৫০ কোটি ডলার চায় বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান
দেশের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর। ঋণখেলাপিতে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত। ডলার-সংকটে রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে। পাহাড়সম বিদেশি ঋণ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভাটার টান। গতিহীন রাজস্ব আয়। জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দামে মূল্যস্ফীতিও লাগামহীন।
খেলাপি ঋণের তথ্যে ব্যাপক কারসাজি করেছে দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক পিএলসি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটি গত বছরের আর্থিক বিবরণীতে খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ দেখিয়েছে, তা প্রকৃত খেলাপির চেয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা কম। এর মধ্য দিয়ে বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন করেছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স
গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ২৪টি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে। এতে অর্থ লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশ। এ ছাড়া একই সময়ে ঋণ খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা।